Step 1

প্রাথমিক আলোচনা ও কাগজপত্র যাচাই
এই ধাপে আমরা আপনার সাথে বসে আপনার প্রস্তাবিত প্রকল্পটি সম্পর্কে জানি। এরপর ভবনের নকশা অনুমোদনের জন্য সবচেয়ে জরুরি যে বিষয় জমির মালিকানার কাগজপত্র তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই করি। এর মধ্যে রয়েছে দলিল, নামজারি, খতিয়ান এবং হালনাগাদ খাজনার রশিদ। কোনো কাগজের ঘাটতি থাকলে আমরা তা সমাধানেও পরামর্শ দিই।
Step 2

অনুমোদনের জন্য নকশা প্রস্তুতকরণ
আপনার জমির অবস্থান ও পরিমাণ অনুযায়ী, আমরা রাজউক/পৌরসভা/সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত নিয়ম এবং বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড (BNBC) মেনে অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় স্থাপত্য নকশা (যেমন: ফ্লোর প্ল্যান, এলিভেশন, সেকশন, সাইট প্ল্যান) প্রস্তুত করি। এই নকশাগুলো আমাদের তালিকাভুক্ত স্থপতি ও প্রকৌশলী দ্বারা স্বাক্ষরিত থাকে।
Step 3

প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট ও আবেদনপত্র প্রস্তুতকরণ
প্ল্যান পাসের জন্য শুধুমাত্র নকশাই যথেষ্ট নয়। এর সাথে আরও অনেক ডকুমেন্ট প্রয়োজন হয়। আমরা আপনার জন্য একটি সম্পূর্ণ ফাইল তৈরি করি, যার মধ্যে থাকে: জমির মালিকানার সকল কাগজের সত্যায়িত কপি, অনুমোদনের জন্য প্রস্তুতকৃত নকশার সেট, সয়েল টেস্ট রিপোর্ট, কাঠামোগত ডিজাইনের প্রাথমিক রিপোর্ট, তালিকাভুক্ত স্থপতি, প্রকৌশলী এবং আপনার স্বাক্ষরসহ নির্ধারিত আবেদনপত্র।
Step 4

সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন জমা প্রদান
সম্পূর্ণ ফাইলটি প্রস্তুত হয়ে গেলে, আমরা আপনার পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরে (যেমন: রাজউক, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ, পৌরসভা বা সিটি কর্পোরেশন) আবেদনপত্রটি জমা দিই এবং জমার রশিদ সংগ্রহ করি।
Step 5

ফলো-আপ ও সমন্বয় সাধন
এটি এই প্রক্রিয়ার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সময়সাপেক্ষ ধাপ। আবেদন জমা দেওয়ার পর থেকে অনুমোদন পাওয়া পর্যন্ত আমরা নিয়মিত সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সাথে যোগাযোগ রাখি। ফাইলটি কোন টেবিলে আছে, কোনো সংশোধন প্রয়োজন কিনা, বা কোনো জিজ্ঞাসার জবাব দিতে হবে কিনা এই সমস্ত বিষয় আমরা সমন্বয় করি। এর ফলে আপনার মূল্যবান সময় ও শ্রম বেঁচে যায়।
Step 6

চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র সংগ্রহ ও হস্তান্তর
সকল পর্যায় সফলভাবে সম্পন্ন হওয়ার পর, কর্তৃপক্ষ নকশাটির অনুমোদন প্রদান করে। আমরা আপনার পক্ষ থেকে সেই চূড়ান্ত অনুমোদনপত্র এবং অনুমোদিত নকশার কপি সংগ্রহ করে আপনার হাতে হস্তান্তর করি। এই অনুমোদনপত্রটিই আপনার স্বপ্নের ভবন নির্মাণের আইনি ভিত্তি।